ক্যাটস আই:
১. আধ্যাত্মিক উন্নতি:রাহু এবং কেতু কুপিত হলে আমাদের মন স্বাভাবিক ভাবেই অস্থির হয়ে থাকে, তখন নানা দিক থেকে দিগভ্রষ্ট হয়ে জীবনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি আমরা। বৈদূর্যমণি এই ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে আমাদের। কী ভাবে? এই গ্রহরত্নের প্রভাবে মন শান্ত হয়, চিত্ত একাগ্র হয় এবং তখন সহজেই আধ্যাত্মিক পথে মনোনিবেশ করে জীবনে উন্নতিলাভ সম্ভব হয়।
২. সৌভাগ্যের সূচক:মন শান্ত হলে জীবনে সৌভাগ্য তো আসবেই! কিন্তু বলা হয়, বৈদূর্যমণির ক্ষমতা এখানেই শেষ নয়। এই গ্রহরত্ন তা ধারণকারীকে ঝুঁকির মুখেও সুরক্ষিত রাখে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী যে সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অনুমাননির্ভর হয়, যেমন- জুয়া, শেয়ার বাজার, সেই সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর সাফল্য এবং সৌভাগ্য লাভ হয় বৈদূর্যমণির গুণে।
৩. শ্রান্তিদায়ক:শুধু মানসিক শান্তিই নয়, বলা হয় যে বৈদূর্যমণি ধারণ করলে তা ধারণকারীকে সব রকম হতাশা থেকে দূরে রাখে এবং জীবনে যথোপযুক্ত শ্রান্তি নিয়ে আসে।
৪. শারীরিক শান্তি:ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের দাবি, বৈদূর্যমণি ধারণকারীকে বেশ কিছু শারীরিক দিক থেকে সুরক্ষিত রাখে এই গ্রহরত্নের প্রভাবে লাইফস্টাইল ডিজিজ থেকে দূরে াকা যায়, অনিদ্রা এবং ক্ষুধাহীনতার সমস্যা মেটে, এমনকী ক্যানসার থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হয়।
৫. আধিভৌতিক সুরক্ষা:বৈদূর্যমণি ধারণ করলে যাবতীয় অপদেবতার নেতিবাচক শক্তি থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তেমনটাই বলছে প্রচলিত ধারণা।
৬. ধন-সম্পত্তি উদ্ধার:বৈদূর্যমণি ধারণ করলে তা এক দিকে যেমন ধারণকারীর জীবনে প্রভূত ধনাগমের পথ প্রশস্ত করে দেয়, তেমনই বলা হয় যে এই গ্রহরত্নে প্রভাবে হৃত ধন-সম্পত্তিও আবার লাভ করা সম্ভব হয়ে ওঠে।
৭. স্মৃতি বৃদ্ধি:শুধু মানসিক শান্তি নয়, বৈদূর্যমণির ধারণ একই সঙ্গে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে বলেও বিশ্বাস করে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র।
৮. কেতু দশা:কেতু দশায় আক্রান্ত হলে তার নেতিবাচক ফল একটানা ১৮ বছর ধরে ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে পারে। কিন্তু যেহেতু বৈদূর্যমণি কেতুর প্রিয়, তাই এই রত্ন ধারণ করলে কেতুর দশায় কখনই আক্রান্ত হতে হয় না, আক্রান্ত ব্যক্তি উদ্ধারও পান সহজেই।
৯. ভয় থেকে উদ্ধার:বৈদূর্যমণি তার ধারণকারীর মন থেকে যাবতীয় ভয় দূর করে দেয়, ফিরিয়ে আনে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী, এভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে এই গ্রহরত্ন।
১০. সৃজনশীলতা বিকাশ:বৈদূর্যমণির প্রভাবে মন শান্ত হয়, উদ্বেগ ও ভয় দূর হয়, আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। এই সব মিলিত কারণেই এই গ্রহরত্নের প্রভাবে ধারণকারীর সৃজনশীলতা বিকশিত হয়।