নীলা একটি মহারত্ন। এটি নীল আভাযুক্ত স্বচ্ছ উজ্জ্বল রত্ন। নীলা শীতল, স্বাদহীন, শুষ্ক রত্ন। আরবীতে একে কবুদ বলে। সংস্কৃতিতে একে নীলকান্তমণিও বলা হয়। কয়েক প্রকার নীলার মধ্যে ইন্দ্রনীল বর্ণর নীলা,অপরাজিতা নীলা, পীতাম্বরনীলা, গঙ্গাজল নীলা ,স্টার নীলা ও রক্তমূখী নীলার নাম আমরা শুনতে পাই।
উপকারিতা : জ্যোতিষ শাস্ত্রে যখন কাজে কর্মে বাধা বিপত্তি, হতাশা,নিরাশা,উন্নতিতে বাধা, আইনগত জটিলতা, করাবাস, শিল্প কলকারখানায় জটিলতা দেখা দেয় তখন জাতক-জাতিকার সকল বাধা অপসারণে নীলা ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। নীলা যদি কারও উপকারে আসে তা হলে এটি পরিধানের পর জাতক-জাতিকা বহু ধন ও ঐশ্বর্যের অধিকারী হন। সংকটকালে জাতক-জাতিকাকে ধৈর্যধারণে ও পরিশ্রমী হতে ও মন শক্ত করে সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। জন্মকালে বা শনির গোচরকালে অথবা অশুভ শনির দশা অন্তর্দশার সময়কালে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীগত জাতক-জাতিকাকে উত্তম নীলা ধারণের পরামর্শ দেন। যাদের জন্ম যে কোনো মাসের ৮,১৭ বা ২৬ তারিখে, তারাও জ্যোতিষীর পরামর্শে নীলা ধারণ করতে পারেন। নীলা রত্ন অধিক মূল্যবান হওয়ার কারণে অনেকে দাগ আশ ও বিকৃত আকৃতির নীলা ধারণ করেন যা তাদের উপকার না করে ক্ষতি করে। অনেকে আবার নকল নীলা ধারণ করেন, ফলে দীর্ঘদিন নীলা ধারণ করেও কোনো উপকার পান না ও জ্যোতিষীদের কারণে শাস্ত্রকে গাল মন্দ করেন।